লর্ড রবার্ট ক্লাইভ নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্য এবং তাদের স্থানীয় মিত্রদের সহযোগিতায় পলাশীর যুদ্ধে ২৩ শে জুন ১৭৫৭ বাংলার নবাব-কে পরাজিত করে মুরশিদাবাদে হত্যা করা হয় এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের প্রশাসন স্থাপন করে। ক্লাইভ গভর্নর হন। এদেরকে বলা হত ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর।

রবার্ট ক্লাইভ (১৭৫৮-১৭৬০) :

  • কলকাতার কাউন্সিলর তাঁকে গভর্নর নিয়ােগ করেন।
  • ১৭৬০ এ তিনি ইংল্যাণ্ড ফিরে যান।

ভ্যাক্সিটার্ট (১৭৬০-১৭৬৫) :

  • তিনি মিরজাফরকে সরিয়ে মীরকাশিমকে নবাব করেন ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।
  • মিরজাফরকে পুনরায় সিংহাসনে বসান ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে
  • বক্সারের যুদ্ধ (১৭৬৪)
  • মিরজাফরের মৃত্যু ও নজমউদ্দৌলার মসনদ লাভ ও কোম্পানির সঙ্গে সন্ধি (১৭৬৫) তাঁর সময়ে ঘটে।

রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫-১৭৬৭) :

  • ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ক্লাইভের সময় নজউদ্দৌলা, শাহসুজা ও দ্বিতীয় শাহ আলমের সঙ্গে তার সন্ধি হয়।
  • কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে দ্বিতীয় শাহ আলমের থেকে।
  • তিনি বাংলায় দ্বৈত শাসনের প্রতিষ্ঠা করেন।
  • লর্ড ক্রাইভ শেষ পর্যন্ত ইংল্যাণ্ড ফিরে আত্মহত্যা করেন।

ভেরেলেস্ট (১৭৬৭-১৭৬৯) :

  • ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সূচনা তাঁর সময়ে হয়।

কার্টিয়ার (১৭৬৯-১৭৭২) :

  • তার সময় বাংলায় চরম অরাজকতা দেখা দেয়। সিতাব রায় ও রেজা খাঁ নিজ নিজ স্বার্থ সিদ্ধিতে ব্যস্ত হন। কোম্পানি কর্তৃক নিযুক্ত আমলারা ব্যাপক হারে রাজস্ব আদায় করতে থাকেন। ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে কার্টিয়ারের সময় বাংলায় দূর্ভিক্ষ বা মন্বন্তর ঘটে।

ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭২-১৭৭৩) :

  • তিনি বাংলায় দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটান।
  • ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে অযােধ্যার নবাবের সঙ্গে তিনি বেনারসের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তিনি অযােধ্যার নবাবকে কারা ও এলাহাবাদ প্রদেশ ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন।
  • ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে রেগুলেটিং আইন পাশ হয়। এই আইন বলে বাংলার গভর্নরকে বাংলার গভর্নর জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ১৩জন গভর্নর জেনারেল ছিল ১৭৭৩ থেকে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে।
  • ইনি বাংলার শেষ গভর্নর।

ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭৩-১৭৮৫) :

  • বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল।
  • ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়। স্যার এলিজা ইম্পে ছিলেন তার প্রথম প্রধান বিচারপতি।
  • ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে রােহিলা যুদ্ধ সংগঠিত হয় ও রােহিলখন্ড অযােধ্যার অন্তর্ভুক্ত হয় ব্রিটিশের সাহায্যে।
  • ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে মহারাজ নন্দকুমার এর মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে এবং তাঁর ফাসি হয়।
  • ১৭৭৫-৮২ এর মধ্যে প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ হয় ও সলবাই-এর সন্ধি হয়।
  • ১৭৮০-৮৪ এর মধ্যে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ হয়।
  • ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে জেমস অগাষ্টাস হিকি ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। এটাই ভারতবর্ষের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা।
  • ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে গভর্নর জেনারেল ইন কাউন্সিল ও সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যে সীমারেখা টানা হয়।
  • ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে পিটের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন হয়।
  • ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে স্যার উইলিয়াম জোনস কলকাতায় এশিয়াটিক সােসাইটি স্থাপন করেন এবং এই বছরেই ‘ক্যালকাটা গেজেট প্রকাশিত হয়।
  • ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে গেলে হাউস অফ লর্ডসে তাকে ইমপিচ করা হয়। সাতবছর বিচারের পর তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৮৬-১৭৯৩) :

  • ১৭৯০-৯২ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ঈঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ হয় ও শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি হয়।
  • ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ‘বম্বে হেরাল্ড’ ও ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে বম্বে কুরিয়ার’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
  • ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকান বারানসী সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
  • ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হয়।
  • ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে 'কর্নওয়ালিশ কোড’ নামক আইনবিধি রচিত হয়।
  • কর বিভাগকে বিচার বিভাগ থেকে আলাদা করা হয়।
  • তিনি ভারতবর্ষে পুলিশি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
  • তিনি ভারতে সিভিল সার্ভিসের সূচনা করেন।

স্যার জন শাের (১৭৯৩-১৭৯৮) :

  • তার গভর্নর জেনারেল কার্যকালে কোন উল্লেখযােগ্য ঘটনা নেই।

লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮-১৮০৫) :

  • ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি অধীনতামূক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেন এবং হায়দরাবাদের নিজাম প্রথম এই নীতি নেন। তাঞ্জোর (১৭৯৯), অযােধ্যার নবাব (১৮০১), সিন্ধিয়া (১৮০৪), ভোঁসলে (১৮০৩), পেশােয়া (১৮০২) এই নীতি গ্রহণ করে।
  • ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ ঈঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ হয় এবং মহীশূর রাজ্য অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করে।
  • ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বাজিরাও এর সঙ্গে বেসিনের চুক্তি এবং দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ হয়।
  • ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপন করেন।
  • মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি তৈরি।
  • বেঙ্গল টাইগার বলা হত।

জর্জ বার্লো (১৮০৫-১৮০৭) :

  • ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করেন।
  • ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে ভেলােরে সিপাহী বিদ্রোহ হয় দেওয়ান ভেলু থেম্পুর নেতৃত্বে। ভেলু থেম্পুকে গুলি করে মারার পর তাকে আবার প্রকাশ্যে ফাসি দেওয়া হয়।

লর্ড প্রথম মিন্টো (১৮০৭-১৮১৩) :

  • ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে রঞ্জিত সিংহের সঙ্গে তিনি অমৃতসরের সন্ধি করেন।
  • ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে তার সময় চার্টার আইন পাশ হয়।

লর্ড হেস্টিংস বা আর্ল অফ ময়রা (১৮১৩-১৮২৩) :

  • ১৮১৪-১৬ খ্রিস্টাব্দে তার সময় প্রথম গােখা যুদ্ধ হয়।
  • ১৮১৫ জেনারেল গিলেসপি এবং মার্টিন ডেল কুমায়ুন অধিকারে ব্যর্থ হলেও নিকোলাস এবং গার্ডেনার কুমায়ুন দখল করেন।
  • ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে সগৌলির সন্ধি হয়।
  • ১৮১৭-১৮ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় মারাঠা যুদ্ধ হয় ও পেশােয়া পদের অবলুপ্তি ঘটে।
  • ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বম্বে প্রেসিডেন্সি সৃষ্টি করেন।
  • ১৮১৭-১৮ খ্রিস্টাব্দে তার সময় পিন্ডারী যুদ্ধ হয়।
  • মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে রায়তওয়ারি ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে।
  • ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে তার সময় বেঙ্গল টেনান্সি অ্যাক্ট পাশ হয়।

লর্ড আর্মহাস্ট (১৮২৩-১৮২৮) :

  • তাঁর সময় ১৮২৪-২৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ব্ৰহ্ম যুদ্ধ হয়।
  • ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে ব্যারাকপুরে একবার সিপাহীরা বিদ্রোহ করে।
  • ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভরতপুর দখল করেন।
  • আসামের অন্তর্ভুক্তি

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৮-১৮৩৫) :

  • ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন।
  • ১৮২৯-৩৫ কর্ণেল স্লিম্যানের নেতৃত্বে তিনি ঠগী দস্যুদের দমন করেন।
  • ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে খাসীরা বিদ্রোহ করে।
  • ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কাছাড় জেলা দখল করে নেন।
  • ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে জয়ন্তিয়া ও ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে কুর্গ দখল করেন।
  • ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি আগ্রা প্রদেশ সৃষ্টি করেন।
  • তার সময়ে তিতুমীর বিদ্রোহ করেন।
  • তিনি আদালতে দেশীয় ভাষা প্রচলন করেন।
  • মেকলের মিনিট অনুসারে তিনি ইংরাজীকে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ঘােষণা করেন ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে।
  • Father of Western Education of India বলা হয়।
  • ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে চার্টার আইন অনুসারে বাংলার গভর্নর জেনারেলকে ভারতের গভর্নর জেনারেল বলে ঘােষণা করা হলে বেন্টিঙ্ক হন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল।
  • রাজা রামমােহন রায় ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে যান এবং সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
  • বেনিভোলেন্ট গভর্নর (Benevolent Governor) বলা হয়।

চার্লস মেটকাফ (১৮৩৫-১৮৩৬) :

  • তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। তাকে বলা হয় ভারতের সংবাদপত্রের মুক্তিদাতা (Liberator of Indian Press)।
  • তার সময়ে গুমশুর বিদ্রোহ ঘটে।
  • এডুকেশন রেগুলেশান বিল তার সময়ে পাশ হয়।

লর্ড অকল্যান্ড (১৮৩৬-১৮৪২) :

  • ১৮৩৬-৪২ খ্রিস্টাব্দে তার সময় প্রথম ঈঙ্গ-আফগান যুদ্ধ হয়, ব্রিটিশরা পরাজিত হয়।
  • ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে শাহ সুজা, রঞ্জিৎ সিংহ ও ইংরেজদের মধ্যে ত্রিশক্তি মৈত্রী চুক্তি ঘটে।
  • ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরভারতে দুর্ভিক্ষ হয়।
  • সাতারার রাজাকে তিনি সিংহাসনচ্যুত করে নির্বাসন দেন। তিনি মান্ডভি রাজ্য অধিগ্রহণ করেন; স্বত্ত্ববিলােপ নীতি এই রাজ্যে প্রথম প্রয়ােগ করা হয়।
  • ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে রঞ্জিৎ সিংহের মৃত্যু হয়।

লর্ড এলেনবরাে (১৮৪২-১৮৪৪) :

  • তাঁর সময় প্রথম ঈঙ্গ-আফগান যুদ্ধ শেষ হয়।
  • ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে তার সময় গােয়ালিয়র যুদ্ধ হয়।
  • ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি সিন্ধু অধিগ্রহণ করেন।

লর্ড প্রথম হার্ডিঞ্জ (১৮৪৪-১৮৪৮) :

  • ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে কোলাপুরে বিদ্রোহ হয়।
  • ১৮৪৫-৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ঈঙ্গ-শিখ যুদ্ধ ও ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে লাহাের সন্ধি হয়।
  • ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঘােষণা করেন যে পাবলিক সার্ভিসের জন্য প্রয়ােজনীয় যােগ্যতা ইংরাজি।
  • ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে ডেনিশ বা দিনেমারেরা ভারতে সব বাণিজ্যকেন্দ্র ইংরেজদের বিক্রি করেন।
  • ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে খােন্দরা বিদ্রোহ করে।

লর্ড ডালহৌসি (১৮৪৮-১৮৫৬) :

  • ১৮৪৮-৪৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ঈঙ্গ-শিখ যুদ্ধ হয় এবং তিনি পাঞ্জাব অধিগ্রহণ করেন।
  • ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-ব্রহ্ম যুদ্ধ হয় ও তিনি নিম্ন ব্রহ্ম উপত্যকা অধিকার করেন।
  • ১৮৫৩ সালের চার্টার আইন পাশ হয়।
  • ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে সিকিম অধিগ্রহণ, ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে হায়দরাবাদের নিজামের সঙ্গে সন্ধির ফলে নিজাম বেরার প্রদেশ কোম্পানীকে দেয়।
  • ‘স্বত্ববিলােপ নীতি’ অনুসারে সাতারা (১৮৪৮), জয়পুর (১৮৪৯), সম্বলপুর (১৮৪৯), বাঘাট (১৮৫০), উদয়পুর (১৮৫২), ঝাঁসি (১৮৫৩), নাগপুর (১৮৫৪) অধিগ্রহণ হয়।
  • ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে কুশাসনের অজুহাতে অযােধ্যা দখল করা হয়।
  • বাের্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড় তাঁর বিখ্যাত ‘উডের ডেসপ্যাচ’ তার সময়ে ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেন।
  • ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে বম্বে থেকে থানে রেলপথ, কলকাতা থেকে আগ্রা টেলিগ্রাফ লাইন, ডাক ব্যবস্থা এবং সর্বভারতীয় প্রতিযােগিতা মূলক পরীক্ষা হয় তার সময়ে।
  • ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে পােষ্ট অফিস আইন পাশ করে ২পয়সার পােষ্টকার্ড চালু করেন।
  • তিনি পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) নামে দপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন ও গঙ্গার খাল খনন করেন।
  • তিনি সিমলাকে ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানীতে পরিণত করেন।
  • ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়।
  • তিনি বিধবা বিবাহ আইন পাশ করার উদ্যোগ নেন।

লর্ড ক্যানিং (১৮৫৬-১৮৫৭) :

  • ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, বােম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
  • ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে হয় সিপাহী বিদ্রোহ।
  • বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয় ১৮৫৬ এর ২৬শে জুলাই।
  • ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানির ঘােষণাপত্র এবং ভারত শাসন আইন পাশ হয়।
  • ইনি ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল।

ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং (১৮৫৮-১৮৬২) :

  • ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং।
  • ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে তার সময়ে নীল বিদ্রোহ হয়।
  • ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় কাউন্সিল আইন পাশ হয়।
  • ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ক্রিমিনাল বা ফৌজদারী আইন ও হাইকোর্ট আইন পাশ হয়।
  • ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, বােম্বাই ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।

লর্ড এলগিন, স্যার নেপিয়ার ও ডেনিসন ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভাইসরয় হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন এবং এই সময় উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনার উল্লেখ নেই।

স্যার জন লরেন্স (১৮৬৪-১৮৬৯) :

  • ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ঈঙ্গ-ভূটান যুদ্ধ হয়।
  • ভারত ও ইউরােপীয় টেলিগ্রাফ লাইন চালু হয় ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে।
  • ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে দুর্ভিক্ষ কমিশন গঠিত হয়।
  • ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে প্রজাসত্ত্ব আইন পাশ হয়।

লর্ড মেয়াে (১৮৬৯-১৮৭২) :

  • কাথিয়াওড়ের রাজকোট কলেজ এবং রাজস্থানের আজমীরে মেয়াে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
  • স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।
  • লর্ড মেয়াে হলেন একমাত্র ইহুদি ভাইসরয়।
  • তার সময় ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে কুকা বিদ্রোহ শুরু হয়।
  • ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে তাকে আন্দামানে ওয়াহাবিরা হত্যা করে। তিনিই একমাত্র ভাইসরয় যিনি ভারতে মারা যান।

লর্ড নর্থব্রক (১৮৭২-১৮৭৬) :

  • তার সময়ে প্রিন্স অফ ওয়েলস বা এডওয়ার্ড -VII ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসেন।

লর্ড লিটন (১৮৭৬-১৮৮০) :

  • ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে রয়্যাল টাইটেল অ্যাক্ট বা রাজকীয় উপাধি আইন পাশ হয়।
  • ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীর দরবারে মহারানি ভিক্টোরিয়াকে ভারত সম্রাজ্ঞী বা Empress of India উপাধি দেওয়া হয়।
  • ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় সংবাদপত্র আইন, ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আইন তার সময়ে পাশ হয়।
  • ১৮৭৮-৮০ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ
  • ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দুর্ভিক্ষ কমিশন নিয়ােগ করা হয়েছিল স্যার রিচার্ড স্ট্যাসির অধীনে।
  • সিভিল সার্ভিসের সর্বোচ্চ বয়ঃসীমা করেন ২১ থেকে ১৯।
  • ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর সময় ‘ভারতসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি।
  • লর্ড লিটন এর কালকে বলা হয় উজ্জ্বল বিফলতা বা Brilliant Failure।

লর্ড রিপন (১৮৮০-১৮৮৪):

  • প্রথম ফ্যাক্টরি আইন পাশ হয় ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে।
  • ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন রদ করেন।
  • ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম জনগণনা বা সেনসাস শুরু হয়। তখন জনসংখ্যা ছিল ২৫৪ মিলিয়ন বা ২৫.৪ কোটি।
  • ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তন করেন। তাকে বলা হত স্থানীয় ‘স্বায়ত্তশাসনের জনক’।
  • ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে স্যার উইলিয়াম হান্টার এর প্রতিনিধিত্বে ‘হান্টার কমিশন নিয়ােগ করেন শিক্ষাসংস্কারের জন্য।
  • ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে ‘দুর্ভিক্ষ কোড’ তার সময় রচিত হয়।
  • ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে ইলবার্ট বিল পাস হয়।

লর্ড ডাফরিন (১৮৮৪-১৮৮৮) :

  • ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় লর্ড ডাফরিনের সময়।
  • ১৮৮৫-৮৬ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় ঈঙ্গ-ব্রহ্ম যুদ্ধ শুরু হয়।
  • ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন আইন পাশ হয়।

লর্ড ল্যান্সডাউন (১৮৮৮-১৮৯৪) :

  • ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ফ্যাক্টরী আইন পাশ হয়।
  • সিভিল সার্ভিসকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন। যথা ইম্পিরিয়াল, প্রভিনশিয়াল ও সাবাের্ডিনেট।
  • ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে বয়ঃসম্মতি আইন (Age of consent) পাশ হয় এবং ১২ বছরের নীচে মেয়েদের বিবাহ নিষিদ্ধ হয়।
  • ১৮৯২ সালের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট।
  • ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারত ও আফগানিস্তানের সীমারেখা নির্ধারণের জন্য ডুরান্ড মিশনকে কাবুলে প্রেরণ করা হয়।

লর্ড দ্বিতীয় এলগিন (১৮৯৪-১৮৯৯) :

  • ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে চাপেকর ভ্রাতৃদ্বয় (দামোদর হরি চাপেকর এবং বালকৃষ্ণ হরি চাপেকর) ব্রিটিশ কর্মচারী র‍্যান্ড ও আয়ার্স্টকে হত্যা করেন।
  • ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে সারা ভারতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। রাজস্থানে দুর্ভিক্ষ অনুসন্ধানের জন্য তিনি লয়াল কমিশন নিয়ােগ করেন।

লর্ড কার্জন (১৮৯৯-১৯০৫) :

  • ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা কর্পোরেশান আইন পাশ হয় তার সময়।
  • ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু হয়। ওই বছর ভারতীয় মুদ্রা ও কারেন্সি নােট আইন পাশ হয়।
  • ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং প্রাচীন মনুমেন্ট সংরক্ষণ আইন পাশ হয়।
  • তিনি দিল্লীর পুসাতে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন।
  • ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে তার সময় বাংলা বিভাজন বা বঙ্গভঙ্গ হয়।

লর্ড দ্বিতীয় মিন্টো (১৯০৫-১৯১০) :

  • তার সময় বঙ্গভঙ্গ বিরােধী আন্দোলন শুরু হয়।
  • ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় মুসলিম লিগ গঠিত হয় আগা খানের নেতৃত্বে।
  • ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়াল হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।
  • ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তার সময়ে সুরাট কংগ্রেসের অধিবেশেন কংগ্রেসের বিভাজন হয়।
  • ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন পাশ হয়।
  • ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে সংবাদপত্র আইন পাশ হয়। ওই বছর ২২ জুন পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেক হয়।

লর্ড দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ (১৯১০-১৯১৬) :

  • ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়।
  • ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লী যায়।
  • ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চম জর্জ এবং কুইন মেরীর সম্মানে দিল্লী দরবার অনুষ্ঠিত হয়।
  • ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বিহার ও উড়িষ্যা দুটি আলাদা রাজ্যের সৃষ্টি হয়।
  • ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে তার উপর বােমা নিক্ষেপ করা হয়।
  • ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে অরণ্য গবেষণা কেন্দ্র ও কলেজ সৃষ্টি হয়।
  • ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে গােপালকৃষ্ণ গােখলের মৃত্যু হয় এবং মদনমােহন মালব্য হিন্দু মহাসভা গঠন করেন।

লর্ড চেমসফোর্ড (১৯১৬-১৯২১) :

  • ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে হােমরুল লীগ গঠিত হয় বালগঙ্গাধর তিলকের নেতৃত্বে এপ্রিল মাসে ও অ্যানি বেসান্তের নেতৃত্বে সেপ্টেম্বর মাসে।
  • কংগ্রেসের লক্ষনৌ অধিবেশন এবং কংগ্রেসের দুই পন্থী নেতাদের পুনর্মিলন (অ্যানি বেসান্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন)
  • ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্ণৌ চুক্তি হয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে বালগঙ্গাধর তিলক-এর মধ্যস্থতায়।
  • ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে পুনাতে প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।
  • ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে চম্পারন সত্যাগ্রহ।
  • ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে গান্ধীর প্রত্যাবর্তন, ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে সবরমতি আশ্রম প্রতিষ্ঠা, ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে আমেদাবাদ ও খেদা সত্যাগ্রহ আন্দোলন হয়।
  • ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ভারতীয় লিবারাল ফেডারেশন গঠন করেন।
  • ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে লাহােরে হাইকোর্ট গঠন
  • রাওলাট আইন ১৯১৯।
  • ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় আফগান যুদ্ধ
  • ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন, ওই বছর জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড ও হান্টার কমিশন নিয়ােগ করা হয়।
  • ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে খিলাফত কমিটি গঠন ও খিলাফত আন্দোলন
  • ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
  • ১৯২০-২২ খ্রিস্টাব্দে অসহযােগ আন্দোলন।
  • ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনে ভারতীয় কংগ্রেসের সংবিধান পরিবর্তিত হয়।
  • ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়াল নির্মাণ সম্পন্ন হয়, ৭ই নভেম্বর প্রিন্স অফ ওয়েলেস বােম্বাই আসেন এবং প্রথম ভারতীয় হিসাবে স্যার এস. পি. সিনহাকে বিহারের লেফটন্যান্ট গভর্নর করা হয়।
  • ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে মােপলা বিদ্রোহ হয়।

লর্ড রিডিং (১৯২১-১৯২৬) :

  • ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়।
  • ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম রেল বাজেট পেশ করা হয় আলাদা ভাবে।
  • ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ৫ ফেব্রুয়ারি চৌরী চৌরি ঘটনা ঘটায় গান্ধীজি অসহযােগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
  • ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন দাশ ও মতিলাল নেহেরু স্বরাজ্য দল গঠন করেন।
  • ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতে ও ইংল্যান্ডে একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
  • ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে দেবদাসী প্রথা বিলুপ্ত হয় এবং উত্তর প্রদেশের কাকোরিতে ট্রেন ডাকাতি ঘটে।
  • ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল প্রথম ভারতীয় হিসাবে আইন সভার সভাপতি নিযুক্ত হন।
  • ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কে, বি. হেজনেওয়ার-এর নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) প্রতিষ্ঠিত হয়, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয় কানপুরে।
  • ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু হয় দার্জিলিং-এ।
  • ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় মুদ্রা সংস্কারের জন্য হিলটন ইয়ং কমিটি নিয়ােগ করা হয়, রাওলাট আইন বাতিল করা হয় তার সময়ে।

লর্ড আরউইন (১৯২৬-১৯৩১) :

  • লর্ড আরউইন খ্রীশ্চিয়ান ভাইসরয় নামে পরিচিত।
  • ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস্ ধানবাদে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশনের নিয়ােগ হয়, কংগ্রেস সাইমন কমিশন বয়কট করে।
  • ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়া স্টেটস পিউপল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
  • ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় রাজ্য কমিশন বাটলার কমিটি নিয়ােগ করে।
  • ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কৃষির ওপর রয়্যাল কমিশন গঠিত হয়।
  • ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সারা ভারত যুব কংগ্রেস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
  • ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে নেহেরু রিপাের্ট পেশ করা হয় এবং মুসলিম লিগ ও হিন্দু মহাসভা এই রিপাের্ট বাতিল করে।
  • ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে জিন্নার চৌদ্দ দফা দাবি পেশ হয়।
  • ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা হয়, এবং লাহাের কংগ্রেসের অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
  • ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ভগত সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত কেন্দ্রীয় আইনসভায় বােমা নিক্ষেপ করেন
  • ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জানুয়ারী প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন হয়
  • ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ১২ ই মার্চ গাজি ডান্ডি অভিযানের মাধ্যমে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন।
  • ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম গােলটেবিল বৈঠক বসে, গান্ধীজী এই বৈঠক বয়কট করেন।
  • ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন হয়
  • বিবাহের ক্ষেত্রে সারদা আইন পাশ হয়, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৪ বছর ও ছেলেদের ১৮ বছর করা হয়।
  • ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে গান্ধী-আরউইন চুক্তি হয়, গান্ধীজী আইন অমান্য আন্দোলন সাময়িক স্থগিদ রাখেন।

লর্ড ওয়েলিংটন (১৯৩১-১৯৩৬) :

  • ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক হয় এবং গান্ধীজি ইংল্যান্ডে যান।
  • ২৪ ডিসেম্বর গান্ধী বােম্বাই আসেন।
  • ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে র্যামজে ম্যাকডােনাল্ড সাম্প্রদায়িক রােয়েদাদ বা বাটোয়ারা নীতি ঘােষণা করেন
  • পুনা চুক্তি হয় গান্ধী ও আম্বেদকরের মধ্যে
  • গান্ধীজিকে বন্দী করা হয় এবং দেরাদুনে ভারতীয় মিলিটারী অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়
  • ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় গােলটেবিল বৈঠক হয়।
  • ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য শ্বেতপত্র (White Paper) প্রকাশ করা হয়।
  • ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
  • ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া আইন পাশ হয়।
  • ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস-সােসালিস্ট দল প্রতিষ্ঠা করেন আচার্য নরেন্দ্র দেব ও জয় প্রকাশ নারায়ণ স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী ও এন. জি. রঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন সারভারত কিষান সভা।

লর্ড লিনলিথগাে (১৯৩৬-১৯৪৩) :

  • ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন।
  • ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহাের অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়।
  • ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ১৭ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র দেশ ত্যাগ করেন।
  • ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ক্রিপস মিশন ভারতে আসেন, কংগ্রেস ক্রিপস প্রস্তাব বাতিল করে এবং ৮ আগস্ট ভারতছাড়াে আন্দোলনের প্রস্তাব পাশ হয় বােম্বাই কংগ্রেস অধিবেশনে।

লর্ড ওয়াভেল (১৯৪৩-১৯৪৭) :

  • ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে সি. আর. ফর্মুলা আলােচিত হয় গান্ধী ও জিন্নার মধ্যে কিন্তু সেই আলােচনা ব্যর্থ হয়।
  • ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ওয়াভেল পরিকল্পনা ও সিমলা চুক্তিতে এটি আলােচিত হয় ও ব্যর্থ হয়।
  • ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় নৌবাহিনীর বিদ্রোহ ঘটে
  • ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ২ সেপ্টেম্বর নেহেরু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।
  • ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ২০ ফেব্রুয়ারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি ঘােষণা করেন যে ১৯৪৮-এর জুন মাসের মধ্যে ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে।
  • ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ৯ ডিসেম্বর সংবিধান সভার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় দিল্লীতে।

লর্ড মাউন্টব্যাটেন (১৯৪৭-১৯৪৮) :

  • ২৪ মার্চ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভাইসরয় নিযুক্ত হন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
  • ওই বছর ৩ জুন ‘মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা’ ঘােষণা করা হয়। এই পরিকল্পনায় বলা হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ১৫ আগস্ট ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে।
  • ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ৪ জুলাই ভারতের স্বাধীনতা বিলটি হাউস অফ কমনসে পেশ হয় ও ১৮ জুলাই বিলটি পাশ হয়।
  • তিনি ভারতের শেষ ব্রিটিশ ভাইসরয়।

চক্রবর্তী রাজাগােপালাচারী (১৯৪৮-১৯৫০) :

  • ইনি প্রথম ও শেষ ভারতীয় ভাইসরয়।
  • ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারী ভারতবর্ষকে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘােষণা করলে এবং ভারতের সংবিধান কার্যকর হলে ভাইসরয় পদের অবসান ঘটে।